মোজাম্মেল হক বাহার,শামলাপুর::
টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শিলখালী গ্রামে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সেতেরা আক্তার (১৬) নামক এক মহিলা আÍহত্যা করেছে। সেতেরা স্থানীয় মৃত আবু তালেবের পুত্র আব্দুচ্ছালামের স্ত্রী। বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন এবং নিহত সেতেরাকে ময়না তদন্তের জন্য টেকনাফ থানায় প্রেরণ করেন। গত ২৯ জুন বিকাল ২ঘটিকার সময় শিলখালী নয়াবাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে আব্দুচ্ছালামের বড় ভাইয়ের স্ত্রী কহিনুর আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ঘটনার দিন সেতেরার স্বামী আব্দুচ্ছালাম এলাকায় ছিলনা। আব্দুচ্ছালাম ১০দিন পূর্বে মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে দুবাই থেকে দেশে আসে। সেতেরা এবং তার স্বামী আব্দুচ্ছালাম গত ২৮ জুন কক্সবাজার থেকে শপিংও করে । ২৯ জুন ঘটনার ২ঘন্টা পূর্বে সেতেরা নিজ শোয়ার কক্ষে ঘুমাতে যাই। এদিকে জুহুরের আযান হয়ে গেলে কহিনুর সেতেরাকে নামাজ পড়তে ডাকে। এ সময় সেতেরার কোন রকম সাড়া শব্দ না পেলে কহিনুর বিষয়টি নিজ স্বামী আব্দুল মাবুদকে অবহিত করে। পুরো আধা ঘন্টা ধরে ডাকাডাকি করার পরও সেতরার কোন সাড়া না পেয়ে কহিনুর এবং আব্দুল মাবুদ দরজা ভেঙ্গে সেতেরার শোয়ার কক্ষে ঢুকলে কহিনুরকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান তারা। তবে নিহত কহিনুরের চাচার মুখে শুনা যায় ভিন্ন সুর। তিনি জানান কহিনুর নিজে আÍহত্যা করেনি। তাকে মেরে ফেলে আÍহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন ঘটনা ঘটেছে ২টার সময় আর এলাকাবাসী জেনেছে ৫টায়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় আব্দুচ্ছালাম নাকি পরকীয়া প্রেমের সাথে লিপ্ত ছিল। এ নিয়ে এলাকায় নানান জন নানান মন্তব্য পোষণ করেছেন।
মীর মোহাম্মদ শাহীন। কর্মসংস্থান ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। ২০১১ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সিনিয়র অফিসার হিসেবে ...
পাঠকের মতামত